নস্টদের দখলে তিলে তিলে গড়ে তোলা কালকিনি উপজেলা আ'লীগ!
যেখানে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা করেছেন নৌকার বিরুদ্ধে যারা ইলেকশন করবে তারা যদি জিতেও যান তাদের কখনো আ'লীগে নেয়া হবে না। সেখানে কালকিনিতে ঘটতেছে সম্পুর্ন ব্যাতিক্রম। এখানে নৌকা ডুবানোরা হয় পুরস্কৃত। এখানে যারা নৌকায় ভোট দিয়েছে তাদের ঘরবাড়ি হয় লুটপাট। মামলা হামলায় তারা হয় পলাতক। ক্ষমতার উচ্চ পদ থেকে নৌকার সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে অনবরত। আমার প্রানপ্রিয় আওয়ামী সমর্থকদের নামের মামলা তুলে নেয়া হয়নি। তাদের শতশত জালাও পোড়াও ও লুটপাট করা ঘরবাড়ি ঠিক করে দেয়া হয়নি। আমার ভাইদের বাড়িতে ফিড়িয়ে আনার উদ্যগ নেয়া হয়নি। এখনো প্রতিনিয়ত তাদের উপর চলছে নির্মম নির্যাতন। কাঁদছে আলীনগরবাসি, কান্নার আহাজারি চলছে লক্ষীপুরে, জলছে কয়ারিয়া। সাহেবরামপুর, সিডিখানসহ কি চলছে সারা কালকিনিতে একবার দেখে আসুন ছদ্দবেশে।
এই অবস্থার মধ্যই এমপি মহোদয় আ'লীগের শত্রু, নৌকার শত্রুদের সাথে নিয়ে সভা সমাবেশ ও মহরা দিয়ে চলেছেন। এতে করে কালকিনি উপজেলা আ'লীগের সকল সাধারন আরো লজ্জিত, ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের সকলের জিজ্ঞাসা আ'লীগ করাই আ্মাদের বড় অপরাধ হয়ে গেল? যারা আ'লীগের শত্রু তারা জুলুম করে আমাদের উপরে আর তারাই আবার এমপির সাথে থাকে তাহলে আমরা কোথায় যাব। দলের মধ্য থেকে যারা নৌকার বিরুদ্ধে ইলেকশন করলো তাদের বহিস্কার করা হলো না কিন্তু যারা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন দিয়েছে তাদের বহিস্কার করা হলো।
ইউনিয়ন ইলেকশনে বিদ্রোহীদের ব্যাপারে চুপ, যারা উপজেলা আ'লীগের দায়িত্বে থেকেও নৌকা ডুবালো তাদের ব্যাপারেও এমপি সাহেব চুপ অথচো পৌরসভার সময় আমরা এমপি সাহেবের কি রুপ দেখেছিলাম। ইউপিতে যদি মনে করেন সবাই আ'লীগ তাহলে পৌরসভাতে কেন মাস্তানী করলেন? কি দোষ করেছিল কালাম ভাই, জীবন দিয়ে আ'লীগ করা লোকমানের কি অপরাধ ছিল, আ'লীগের জন্য জীবনের সবকিছু বিষর্যন দেয়া সবুজ কি পাপ করেছিল? আপনার এত মাস্তানির পরও এরা এক একজন কত ভোট পেয়েছিল একটু হিসেব করে নিয়েন! যদি মাস্তানি না করতেন তাহলে আপনার অবৈধ নৌকা কোথায় ভেষে যেত তার ঠিকানা খুজে পেতেন না।
উপজেলা ও পৌরসভা আ'লীগের সম্মিলিত মনোনয়ন বোর্ড এবং আ'লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সকলের সমর্থনে কালাম ভাইকে মনোনয়ন দিয়ে কেন্দ্রে রেজুলেশন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আপনি একা আপনার ক্ষমতা দিয়ে সবার মতামতকেই জলাঞ্জলি দিলেন। আপনার খামখেয়ালিপনার কারনে কালকিনি আ'লীগ ও তার অংগ সংগঠনের সবাই একযোগে পদত্যাগ করেছিল কিন্তু কাউকেই আপনি সামান্য তোয়াক্কা করলেন না। লোভ লালসা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অনেককেই বাগিয়ে নিলেন কিন্তু কতটা পেরেছেন, হিসেব মিলিয়ে দেইখেন। জুলুম, নির্যাতন ও মাস্তানির স্টীম রোলার চাপিয়ে দিলেন কালকিনির উপরে।
সম্পুর্ন অন্যায় ও নিয়মবহির্ভুতভাবে ইলেকশন চলাকালিন সময়েই বিদ্র্রোহীকে সমর্থন প্রদানের জন্য বহিস্কার করা হলো কিন্তু এখনতো অনেকদিন হয়ে গেল ইলেকশন শেষ। কই এখনতো তাদের বহিস্কার করছেন না বরং তাদের নিয়ে ঘুড়ছেন, খাইছেন, আনন্দ করছেন। এমন ডবল রোল আ'লীগের সাথে কেন? আ'লীগকে এত ভয় কেন? কেমন আজব চরিত্রের নেতা হলে এমনটা সম্ভব? বিএনপি জামায়ত দিয়ে যদি আ'লীগ করাতে চান তাহলে শরীর থেকে প্রথমে আ'লীগ নামটি মুছে ফেলুন।
শূন্য থেকে শুরু করে আজ কালকিনিতে সাজানো আ'লীগ। এই সাজানো বাগান ধংশ হতে দিতে পারিনা, দেব না। দলের জন্য অনেক রক্ত দিয়েছে আমার ভায়েরা। বিএনপিকে পাশে নিয়ে সেই ভাইদের রক্ত আবারো ঝরানো হচ্ছে। আমরা এটা মেনে নেব না। কালকিনির জনগন এটা হতে দেবে না। কালকিনির জনগন প্রস্তুত থাকুন। কোনো রক্ত চক্ষুকে ভয় পাবেন না। আমাদের কালকিনি, আমাদের আ'লীগ, আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। জয় আমাদেরই হবে।
জয় বাংলা
No comments:
Post a Comment