Monday, September 26, 2011

একাত্তরের ঘাতকদের রক্ষায় যারা কাজ করছেন তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা সম্ভব নয় : শেখ হাসিনা।


একাত্তরের ঘাতকদের রক্ষায় যারা কাজ করছেন তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা সম্ভব নয় বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সম্মেলনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রধানমন্ত্র্রী বলেন, কার সঙ্গে বসব? চোর, বাটপার, দুর্নীতিবাজ, হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারকারী, গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আইভি রহমানসহ ২৪ জনকে হত্যাকারী এবং একাত্তরের ঘাতকদের রক্ষায় যারা কাজ করছেন তাদের সঙ্গে? কিন্তু এটা সম্ভব নয়, শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমি যদি তার সঙ্গে বসি তাহলে প্রথমেই তো শর্ত দেবেন, 'ওই ধরনের কুকর্মে লিপ্তদের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।' নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালের এ দিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সর্বপ্রথম প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন। ঘটনাচক্রে ৩৭ বছর পর ঠিক একই দিনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আমিও বাংলায় বিশ্বসভায় বাঙালি জাতির প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কুফল জাতি প্রত্যক্ষ করেছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন এখন স্বাধীন এবং সার্বভৌম। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই আগামী সংসদ নির্বাচন হবে। আর ওই নির্বাচনে সব দলই অংশ নেবে। জনগণের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার এটাই হচ্ছে আমাদের উৎকৃষ্ট পথ। সরকারের দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সরকারে দুর্নীতি হলে দেশে বর্তমানে যে উন্নতি হয়েছে তা সম্ভব হতো না। তার সরকার ক্ষমতায় এসে এ পর্যন্ত আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। দুর্নীতি হলে এটা সম্ভব হতো না। ওয়ান-ইলেভেন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এর নায়করা খালেদা জিয়ার আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন। ইয়াজউদ্দিন, ফখরুদ্দীন আহমদ, মইন উ আহমেদ সবাই বিরোধীদলীয় নেত্রীর ঘনিষ্ঠ। নয়জন সেনা কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে জেনারেল মইনকে সেনাপ্রধান করেছিলেন খালেদা জিয়া। বিশ্বব্যাংক থেকে ডেকে এনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর করেছিলেন ফখরুদ্দীন আহমদকে, নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে ইয়াজউদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। খালেদা জিয়া মনে করেছিলেন তারাই তাকে রক্ষা করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হয়েছে সেটা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। ফিলিস্তিন-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব এম এ করিম, পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ, বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।

No comments:

Post a Comment