Monday, September 9, 2013

আপনার বিবেককে জাগ্রত করুন -বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন।

SUPPORT AWAMI LEAGUE, VOTE NOUKA ONCE AGAIN

আপনার বিবেককে জাগ্রত করুন -বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন। জোট সরকারের সংখ্যালঘু নির্যাতন
১। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সমগ্র বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করলো কারা ? 
২। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর পূর্ণিমা ফহিমা রীতা রানীদের সম্ভ্রম হানী করলো কারা। ? 
৩। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর ভোলার ইউ পি সদস্য সেফালী সরকারের সম্ভ্রমহানী করলো কারা ?
৪। ২০০১ সালের ৪ঠা অক্টোবর লালমোহনের রীতা রানী দাসকে গনধর্ষণ করলো কারা ?
৫। ২০০১ সালের ৮ অক্টোবর উল্লাপাড়ার নিজ মায়ের সামনে পূর্নিমা রানীকে গনধর্ষন করেছিল কারা ?
৬। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর মোল্লার হাটে বোমা বিস্ফারণ ঘটিয়ে হিন্দুদের মারলো কারা ?
৭। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর মীরেরসরাইতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করলো করা ?
৮। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর রাউজানের প্রভাত দাসের বাড়ী জালিয়ে দিয়েছিল কারা ?
৯। আগৈলঝড়ার ১৪ বছরে কিশোরী রাসমনি বাইনকে নির্যাতন করেছিল কারা ?
১০। গৌরনদীর অন্ত:সত্ত্বা সাবিত্রী দাসকে গন ধর্ষণ করেছিল কারা ?
১১। অন্নদাপ্রসাদ গ্রামের বাল্য বধির সেফালী রানী দাসকে ধর্ষন করেছিল কারা ?
১২।বাঁশখালিতে ১৩ জন সংখ্যালঘুকে পুড়িয়ে মেরেছিল কারা ?
১৩। লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে নিজ বাড়ীতে গৃহবধু সুজাতা রানীকে ধর্ষন করেছিল কারা ?
১৪। আগৈলঝড়ার ইউপি সদস্য রেনুকা রানীকে ধর্ষন করেছিল কারা ?
১৫। গফরগাওয়ের জ্যোতস্নাকে গণধর্ষন করেছিল কারা ?
১৬। চট্টগ্রামের চন্দনাইশে হিন্দু পাড়ায় হামলা করেছিল কারা ?
১৭। বাগেরহাটের যাত্রাপুরের ঠাকুর বাড়িতে এক রাতে ২৩ জন গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছিল কারা ?
১৮। নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহরীকে হত্যা করলো কারা ?
১৯। ২৩। রামু বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা করে জ্বালিয়ে দিলো কারা ?
২০। আবারো কি লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘু দেশ ছাড়া হবে ?

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কারণ বাঙালির প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা

SUPPORT AWAMI LEAGUE, VOTE NOUKA ONCE AGAIN

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কারণ বাঙালির প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা সূধীজন প্রতিক্রিয়া….

 
যারা ভেবেছিল ১৫ই আগস্ট জাতির জনককে হত্যা করে ইতিহাসের স্রোতস্বিনী নদীর পথ বদলে দেবে তারা ভুল করেছিলো। যারা ভেবেছিল দেবশিশু রাসেলকে হত্যা করে এদেশের ভবিষ্যৎ এর মুখে কুলূপ এঁটে দেবে তারা ভুল করেছিলো। যারা ভেবেছিল ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে এদেশের নিয়মকানুনের ধারার পায়ে বেড়ি পেরিয়ে দেবে তারাই’ তারা সকলে ভুল করেছিল। ইতিহাসের শাখা প্রশাখা ঘুরে মহাত্মা গান্ধীকে দেখতে পেয়েছিলাম যিনি অহিংসার পুজারী ছিলেন। নাথুরাম গডস নামক একজন ঘৃণিত মানুষ তাকে হত্যা করেছিল। রোম সম্রাট জুলিয়াস সিজার এর সাথে নিরস্ত্র অবস্থায় বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তাকে হত্যার মাধ্যমে। সমাজতান্ত্রিক আদর্শে উজ্জীবিত চিলির প্রেসিডেন্ট আলেন্দ্রেকে কুচক্রীরা হত্যা করেছিল। পাবলো নেরুদার মতো দেশপ্রেমিক যার হ্রদয় ছিল স্বদেশ, স্বদেশেরই করুণ ট্রাজেডির শিকার তিনিও। এভাবে পৃথিবীর অসংখ্য সূর্যসন্তানদের উচ্চাভিলাষী দুর্বল সংকীর্ণ মানুষগুলো হত্যা করলেও এই ভালবাসার মানুষগুলো দেশ হয়ে উঠে।
১৯২০ সালে টঙ্গিপাড়ায় যে ছেলেটির জন্ম হয়েছিল পরাভূত বাঙালির মুক্তির জন্য যিনি দীর্ঘজীবন কারাগারে অন্তরীন থেকেও মুক্তির নেশায় উব্দেলিত ছিলেন যারা লালিত স্বপ্ন একদা মুক্তির সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের জন্মদান সম্ভব হয়েছিল সেই অসম সাহসিক ভালবাসার মানুষটিকে নির্মমভাবে ষড়যন্ত্রের বেড়ায় আবদ্ধ করে ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। এদেশপ্রেমিক মানুষটিকে হত্যার মাধ্যমে তিনি দেশ কেন বাঙালির হৃদয়ে পরিণত হয়েছিলেন।
তাঁর আত্মার স্পন্দন জাতির বিবেকের কাছে অবিচ্ছেদ্য হয়ে পড়েছে। বিচ্ছেদ ও বিষাদে ঢাকা তার বত্রিশ নম্বর ধানমন্ডি প্রতিটি বাঙালির দীর্ঘশ্বাসে উপজীব্যতা পেয়েছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মুখে সেঁটে গেছে এক রাসেলের নিষ্পাপ মুখ।
পৃথিবী যতদিন থাকবে’ ততদিন যেমন বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় ভালবাসা, দেশপ্রেম, ৭ই মার্চ থাকবে। তেমনি থাকবে খন্দকার মোশতাকসহ সমস্ত মানবতা ও সভ্যতাবিরোধী মানুষগুলোর নাম ব্র“টাস্ মীর জাফরদের কলঙ্কিত অধ্যায়ে। ওরা পশু ছিলানা কারণ পশুরা প্রকৃতির নিয়মে চলে। ওরা মানব নামে দানব ছিল। ছিল বলেই রাতের আলো আধারীতে ষড়যন্ত্রে বেড়াজাল বুনতে ভালবাসতো। একাত্তরে যারা জেনারেল ইয়াহিয়া, জুলফিকার আলী ভূট্টোর পা চেটেছিল, ১৯৭১ সালে যারা নিক্সন কিসিঞ্জারের বিদেশনীতিতে উষ্কে উঠেছিল, যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী ছিল তারাই ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে সমূলে উৎপাটনের প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। ভাবতে অবাক লাগে তৎকালীন সেনা অফিসার জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর ৭ দিনের মধ্যেই সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশের সূর্য সন্তান স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে অর্ন্তভূক্তি ও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী করেছিলেন। বাঙালির ইতিহাস বিভ্রান্তি অবাক করে, সঠিক ইতিহাস দিনের পর দিন বিকৃত করা হয়েছে। মুছে দেওয়া হয়েছিল সংবিধানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারা।
স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বাধীনতা পরবর্তীকালীন সময়ে ১২১ টি দেশ স্বীকৃতি দান করেছিল অথচ, কেন ১৯৭৫ সনে এসে ১৬ই আগস্ট সৌদিআরব ও ৩১ শে আগষ্ট চীন স্বীকৃতি দেয়? এবং লিবিয়া কিভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দান করে? কেন বৈদেশিক অর্থের যোগান ঘটে ? কিভাবে সি.আই.এ বঙ্গবন্ধুর খুনের সথে চক্রান্তে ছিল ?।
কেন পরাজিত পাকিস্থান বাহিনী ১৫ই আগষ্টকে অভ্যূত্থান বলে ঘোষনা দিয়েছিল ? সেই আগস্ট মাসেই কিভাবে পাকিস্থান ৫০ হাজার টন চাল দেড় কোটি গজ কাপড় বাংলাদেশকে তৃপ্তিভরে উপঢৌকন দেয়। তারজন্য একদিন আর্ন্তজাতিকভাবে তাদের ক্ষমা চাইতেই হবে। কারণ যেখানে বঙ্গবন্ধুর শরীরে দেশের মাটি উর্বর হয়েছে, সেখানে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তে স্রোতস্বিনী নদীতে বান ডেকেছে। যেখানে জাতীয় চারনেতার নিঃস্বার্থ দেন ও সর্বোচ্চ মানে বাংলার পাহাড় উপত্যকা সমৃদ্ধ হয়েছে, সেখানে কোন চক্রান্ত ও দূরভীসন্ধিকারী পালাবার পথ খুঁজে পাবেনা।
১৫ই আগষ্টের পর ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত পুরো বাংলাদেশকে থামিয়ে দেয়া হয়েছিল। রাতের ঢাকাতে ছিল আর্মির হুইসেল, ট্যাংকের ঝমঝম দানবের শব্দ, নিষ্ঠুর, কৃপন, কপট, ধূর্ত মানুষগুলোর আভ্যন্তরীন ও আর্ন্তজাতিক ষড়যন্ত্রের ফিসফিস রঙ্গালাপ। আমাদের চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, মনছুর আলী ও তাজউদ্দিন আহমেদকে তাদের মন্ত্রী পরিষদের শপথ করিয়ে তাদের আইনের কঠোর বেড়াজালে বাঁধতে চেয়েছিল। মাথানত করেনি আমাদের নেতৃবর্গ। সংবাদপত্রের উপর ষড়যন্ত্রকারীরা সেন্সরশিপ দিয়ে রাজনৈতিক কার্য্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড স্থবির করে অগনীত রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গুপ্ত হত্যা করা হয়েছিল। যার কোন হিসাব নেয়। জাতীয় চারনেতার বিচক্ষণতা ও জ্ঞানের সম্ভার, অমোঘ দেশপ্রেম কুচক্রীদের যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারারুদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে ৩রা নভেম্বর হত্যা করা হয়। তারপর দীর্ঘ অরাজকতা, ভোটের নামে ভোট ডাকাতি। ইতিহাসের সব মহৎ মানুষগুলোকে হত্যার পেছনে কারণ ছিল ভালবাসা ও দেশপ্রেম।
১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার বাংলাদেশ আগমন ৩২ নং ধানমন্ডিতে পদচারনে পুরো বাংলাদেশ যেন কেঁদেছিল সেদিন। অঝোর ধারায় সেই বর্ষার বাদল আর মানুষের কান্না এক হয়েছিল। যেন হারানো এতিম সন্তানটা ঘরে ফিরল। কোন প্রতিশোধ নয় প্রতিহিংসা নয় পুরো পৃথিবীর দুয়ারে পিতৃহত্যার বিচার চাইতে চাইতে অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক ও আইনানুগভাবে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলকরণের মাধ্যমে পিতৃহত্যার বিচারে তিনি সফল হয়েছিলেন। ধণ্যি শেখ হাসিনা।
আমাদের বোন, শেখ হাসিনাকে বলছি, তোমার স্বপ্নই আমাদের আলোদীপ্র, তোমার আনন্দ আমাদের উৎস, তোমার অনুভব আমাদের অনুভূতি, তোমার ত্যাগ আমাদের দেশপ্রেম, তোমার বুকজুড়ে দেখ আমাদের ভালবাসা, আমাদের চোখে দেখ তোমারই ‘সোনার বাংলা’ কতটা কাছে, হাতবাড়াও তোমারই চৌহদ্দীতে।

কথা কম কাজ বেশী

SUPPORT AWAMI LEAGUE 
আওয়ামী লীগ 'কথা কম কাজ বেশী'' নীতিতে বিশ্বাসী। ৪২ বছরের বাংলাদেশে যতোগুলো সরকার এসেছে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে অতি দক্ষতার সাথে বিচক্ষনতার সাথে মহা দুর্যোগ ৫ ও ৬ ই মে'র মতো ভয়াবহ চক্রান্তকে অতি সুনিপুন দক্ষ প্রশাসকের ন্যায় অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে নশ্চাত করতে সক্ষম হয়েছে। অন্য কোন সরকার হলে ওই রাতে ঢাকায় রক্তের হলি খেলা বয়ে যেতো। আওয়ামী লীগ শুধু কথায় বিশ্বাসী নয়। এক) আওয়ামী লীগ সুদক্ষ বিজ্ঞ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ঢাকা মহানগরকে বিশ্বের অন্যান্য রূপসী নগরের মতোই সর্ব শ্রেনীর মানুষ বাসযোগ্য করে তুলেছে এবং তা'শূধু মাত্র এই ৪ বছর আট মাসে। হাতির ঝিলের নোংড়া বদ্ধ ডোবাকে আওয়ামী লীগ সরকার করে তুলেছে হংকং লন্ডন সিঙ্গাপুর কুয়ালালামপুরের মতো মুক্ত হাওয়ায় স্বপরিবারে ছেলে মেয়ে স্ত্রী পুত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মতো একটু মনোরম পরিবেশ;
দুই) যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারঃঢাকা মহানগর থেকে সিলেট কুমিল্লা নোয়াখালী চট্টগ্রাম নরসিংদীগামী লক্ষ লক্ষ যাত্রী বাস ট্যাক্সী প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা ট্র্যাফিক জ্যামের কারনে গাড়ীতে বসে থাকার অসহ্য যন্ত্রনা পোহাতে হতো। গর্ভবতী অনেক মহিলা রাস্তায় সন্তান প্রসবের ঘটনাও ঘটেছে। আজ শেখ হাসিনার সরকার সে সমস্যস সমাধান করেছে। আজ আর লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাড়ী ফেরার জন্য বা ঢাকা আসার পথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় গাড়ীতে বসে হা হুতাশ করতে হয়না। সরকার কিসের জন্য? কর জন্য? সরকার মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণের জন্য। বিগত বি এন পি সরকারের আমলে কি হয়েছিল? উন্নয়নের টাকা হাওয়া ভবনে খাজনা হিসেবে দিতে হয়েছে। বিদ্যুতের খাম্বা লাগানোর টেন্ডার জমা হয়েছে হাওয়া ভবনে। বিদ্যুতের কোন কাজ সারা বাংলায় না করেই তারেক মামুনরা টেন্ডারে উল্লেখিত কোটি কোটি টাকা তুলে নিয়ে বিদেশী ব্যাংকে জমা করেছিল। তিন) উত্তর বঙ্গের কোটী জনতার ঢাকা প্রবেশ পথে ট্র্যাফিস জ্যাম ছিল একটি একটি অভিশাপ। এ অভিশাপের মূল কারন ছিল ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মহাখালী পর্যন্ত দীর্ঘ দুই তিন মাইলের ট্র্যাফিক জ্যাম। এ বিশাল জাতীয় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি সেনাবাহিনীর তদারকিতে ফ্লাই ওভার নির্মাণের চিন্তা করেন এবং বিল পাশ করেন। স্থাপন করা হয় বনানী থেকে মিরপুর ক্রসিং ফ্লাই ওভার, খিলক্ষেত থেকে কুড়িল, বাড্ডা মধ্য বাড্ডা, উত্তর বাড্ডার মূল প্রবেশ দ্বারে কয়েকটি ফ্লাই ওভার যাতে উত্তর বঙ্গের যে সব যাত্রী যাত্রাবাড়ী নারায়ণগঞ্জ চট্টগ্রাম নোয়াখালী কুমিল্লা চাঁদপুরে অতি সহজেই যেতে পারেন। আর বি এন পি সরকারের আমলে সাদেক হোসেন খোকা মীর্জা আব্বাস ইউ এস এম্বেসীর সামনের ওভার ব্রীজের টাকা মেরে খাওয়াতে তা' ভেঙ্গে পড়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। খিল গাও ফ্লাই ওভারের টেন্ডারের টাকা তারেক জিয়াকে ভাগ দেয়ার কারনে সে অবস্থায়ই অসমাপ্ত অবস্থায় মানুষের দুর্যোগ আরো তিন গুন বাড়িয়ে দিয়েছিল। 
বিচার বিবেচনা বিশ্লেষন আপনাদের বিবেকের কাছে। আগামী নির্বাচনে আপনারা কি সেই খাম্বা চোরের লুটেরা বাহিনীকে ক্ষমতায়ন করতে চান, নাকি "উন্নয়নের রানী" জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চান?

এদের রুখে দাড়ান । ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে আওয়ামী লীগের সাথে থাকুন।

come to Mukthi's world and raise your hands against Islamic militants, terrorism,war criminal & loots and corruption.
আমরা ৭১ এর ২৬ শে মার্চ এবং ১৬ ডিসেম্বরকে বাদ দিয়ে কিছুই করতে পারিনা।  ৭১ আমাদের রক্তে মাংসে অস্তি মজ্জায় চেতনায় শিরায় উপ শিরায় ধমনিতে থাকা উচিত। মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী যোগ্য স্বার্থক সফল রাজনৈতিক দল, গর্বিত দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ । সে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সংগ্রামী সঙ্গী সাথীদের সারা জীবনের ত্যাগ তিতিক্ষা আর কঠিন সংগ্রাম শেষে ৩০ লক্ষ্য তাজা প্রান, ২ লক্ষ ৪০ হাজার মা'বোনের জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ 'ইজ্জতে'র'' বিনিময়ে প্রাপ্ত ফসল যে স্বাধীনতা, ৪৫ বছর পর আজ সে স্বাধীনতায় কুঠার আঘাত হেনেছে ৭১ এর ঘাতক দালাল হায়েনা নরপশু ইসলামের লেবাসধারী মউদুদীর মদদপুষ্ট জঙ্গি জানোয়ার জামাত এ ইসলাম, নেজাম এ ইসলাম আর মুসলিম লীগের রূপান্তরিত আল বদর আল শামস আর রাজাকার ।
এদের সাথে যোগ দিয়েছিল বিশ্ব বাটপার ধূর্ত অকপট শয়তান জিয়ার বিধবা স্ত্রী কুপুত্র তারেক রহমান। এদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ইন্ধন যোগাচ্ছে ডঃ ইউনুস ডঃ কামালসহ আরো কিছু বামপন্থী চরিত্রহীন দিকভ্রান্ত পথভ্রষ্ট নীতি আদর্শ বিবর্জিত ৭৫ এর ঘাতক ফ্রিডম পার্টির উচ্চাভিলাষী সেনা সদস্যের অবৈধ সন্তানেরা, যোগ দিয়েছে জে এম বি হিজবুল তাহরীর বাংলা ভাইয়ের অনুসারী বিপথগামী প্তহভ্রষ্ট কুলাঙ্গার জিহাদী জল্লাদ আন্সারুল্লাহ নামধারী আল ক্বায়েদার বীন লাদেনের ঘনিষ্ট বন্ধু সহকর্মী আল্লামাখ্যাত আহমেদ শফি গং রা।
এর সাথে যোদ দিয়েছে মরহুম আমিনীর কওমী মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক/মোদারেছিন যাদের সকল আর্থিক সাহায্য আসছে সৌদি আরব লিবিয়া ও পাকিস্তান থেকে । তারেক রহমান কর্তৃক লন্ডন থেকে। সারা বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা জামাত ই ইসলামের আর্থিক অনুদানকারী সংগঠন/সংস্থা " ইবনে সীনা" ইসলামী ব্যাংকের মতো আরো অনেক আরাবিয়ান দাতাগোষ্ঠী। আওয়ামী লীগের কোন আর্থিক অনুদানকারী দাতা নেই। আছে হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত বাংলার গরীব দুখি ছিন্নমূল মানুষের অগাধ ভালোবাসা আর দোয়া। জয় আমাদের হবেই ইনশায়াল্লাহ। মানুষের এই অগাধ বিশ্বাস আর ভালোবাসার কাছে ওদের সকল চক্রান্ত যড়যন্ত্র হীনমনোবৃত্তি ধূলায় মিলিয়ে যাবে ।তাই আজ ওদেরকে প্রতিহত করার জন্য ৭১ এর মতোই আবার গর্জে উঠতে হবে।
জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সোনার বাংলা গড়ার সুযোগ দিন। ওরা আপনা আপনিতেই বিলীন হয়ে যাবে। 
মোকতেল হোসেন মুক্তি
মুক্তিযোদ্ধা
সভাপতি
সময়৭১
সহ সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটি
বাংলাদেশ আওয়ামী তরুণ লীগ
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।     

Tuesday, July 23, 2013

‘আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনুন, বাংলার চেহারা পাল্টে দেব।

‘আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনুন, বাংলার চেহারা পাল্টে দেব।


সজীব ওয়াজেদ জয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনুন, বাংলার চেহারা পাল্টে দেব। আমার কাছে তথ্য আছে, আগামীতে আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। আমি বিএনপির মিথ্যা প্রচারণা মোকাবিলা করতে এসেছি।’
সজীব ওয়াজেদ বলেন, এখন থেকে আগামী ছয় মাস বিএনপির দুর্নীতি, অপশাসন তুলে ধরুন। তাঁদের অপকর্মের কথা মানুষকে মনে করিয়ে দিন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে দেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, সাড়ে চার বছর ধরে আওয়ামী লীগ দেশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। এখন আর মানুষকে লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ পোহাতে হয় না। আওয়ামী লীগই বিদ্যুত্ সমস্যার সমাধান করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে নতুন কোনো বিদ্যুেকন্দ্র বানাতে পারেনি। জনগণের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আপনারা বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের দুই টার্ম তুলনা করে দেখেন, কারা বেশি উন্নয়ন করেছে। আওয়ামী লীগ এক টার্মে যে উন্নয়ন করেছে, বিএনপি দুই টার্মেও সে উন্নয়ন করতে পারেনি।’
সজীব ওয়াজেদ বলেন, বিএনপির আমলে হল-মার্ক, ডেসটিনির মতো দুর্নীতি করলেও কেউ গ্রেপ্তারও হতো না। এমনকি এসব কথা বলাও যেত না। দুর্নীতিতে বাংলাদেশ এক নম্বর ছিল। ব্যবসায়ীদের চাঁদা জমা দেওয়ার জন্য হাওয়া ভবন সৃষ্টি হয়। খাম্বার কথা কেউ ভুলে যায়নি।
জয় বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে কাউকে চাঁদা দিতে হয়নি। হাতিরঝিলের মতো স্থাপনার কারণে ঢাকাকে আন্তর্জাতিক শহর মনে হয়। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছি। এভাবে অর্থনীতি এগোলে আমাদের ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন হবে। আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর বিএনপির আমলে হয় শুধু দুর্নীতি।’ ২০০১ সালে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের জন্য চারদলীয় জোট সরকারকে দায়ী করেন জয়।
 প্রধানমন্ত্রীপুত্র বলেন, ‘২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার কথা ভুলে যায়নি। ওই সময় আমার মাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৩ জনকে হত্যা করা হয়। চার শ জন আহত হয়। তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র এতে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেটা দুঃখজনক।’

Wednesday, July 17, 2013

রাষ্ট্র বনাম মির্জা ফখরুল ইসলাম


কয়েকদিন আগে আমাদের দেশের খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সঙ্গে আমার পছন্দের একটি দৈনিক পত্রিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক ‘রাষ্ট্র বনাম মির্জা ফখরুল’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। ওই নিবন্ধে লেখক সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপি দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের চারিত্রিক গুণাবলী সম্পর্কে প্রশংসামূলক অনেক কথাই লিখেছেন। সবকিছুর উত্তর দেয়ার আমার কোন ইচ্ছা নেই। তবে এমন সম্মানিত ব্যক্তির শুধু একটি বিষয়ে আমি মৃদু প্রতিবাদ করছি। 
রাষ্ট্র বনাম মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর সাত্তার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (সব অধ্যাপকই আমাদের মতো আমজনতার কাছে বিশেষ শ্রদ্ধার পাত্র) সাহেব তার নিবন্ধের এক জায়গায় লিখেছেন, মির্জা সাহেব খালেদা জিয়ার আমলে প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অনিয়মের কোন অভিযোগ কখনও উচ্চারিত হয়নি। কথাগুলো পড়ে রবিঠাকুরের গানের একটি কলি মনে পড়ে গেল ‘সখী ভালোবাসা কারে কয়!’ ওই গানের কলিটি স্মরণ করে এবং শ্রদ্ধেয় অধ্যাপকের লেখাটা পড়ে, বলতে ইচ্ছা করে, সখী মিথ্যা কাহারে কয়!
অ ঢ়ড়ষরঃরপরধহ রং বরঃযবৎ ধ মবহঃষবসধহ ড়ৎ ধ ংপযড়ষধৎ, নঁঃ ড়ভঃবহ পড়সনরহবং ঃযব ড়িৎংঃ ড়ভ বধপয. অধ্যাপক সাহেব তার লেখা নিবন্ধে যাদের অনেক প্রশস্তি গেয়েছেন তাদের প্রসঙ্গে কিন্তু কথাগুলো বলছি না। কেবল মনে পড়ে গেল, তাই লিখলাম। এ কথাগুলো কোন বইয়ে পড়েছিলাম, তাও মনে করতে পারছি না। 
এবার বিমানের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মির্জা সাহেব বিমানের কতটা ক্ষতি করে গেছেন, তার একটা উদাহরণ দেয়া যাক। 
বেগম খালেদা জিয়া ২০০১ সালে দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কিছুদিন পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো বাংলাদেশ বিমানের জন্য ১১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ১০ খানা নতুন এ্যারোপ্লেন কেনা হবে। বিমানের ফ্লিট প্ল্যান কমিটি তাদের বিদ্যার সীমাবদ্ধতা নিয়ে অনেক গবেষণা করে এবং অনেক সময় ব্যয় করে ২০০৩ সালের শেষদিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে: নতুন প্লেনগুলো বোয়িং কোম্পানি থেকেই কেনা হবে। বিমানের বোর্ড সভায় তা অনুমোদিত হলো। 
তারেক রহমান জানতেন না, বোয়িং কোম্পানি থেকে প্লেন কিনলে কোন কমিশন পাওয়া যাবে না। আমেরিকার ফেডারেল আইন অনুযায়ী ওই দেশের কোন কোম্পানি বিদেশে কিছু বিক্রি করার জন্য কাউকে কোন কমিশন দিতে পারবে না। কিন্তু অনুদান দিতে পারে। ওই অনুদান আবার ব্যক্তি বা কোন গোষ্ঠীকে দেয়া যাবে না। ব্যাপারটা জানার পর তারেক রহমানের তো আক্কেলগুরুম। এত বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে এ্যারোপ্লেন কিনব, অথচ কোন কমিশন পাওয়া যাবে না, তা কি হয়! তবে আর প্লেন কিনে লাভ কি? তারেক রহমান তখন তখনকার বিমানের প্রতিমন্ত্রী মীর নাসিরকে বললেন, আমরা বোয়িং কোম্পানি থেকে উড়োজাহাজ কিনব না। আমরা কিনব, এয়ার বাস কোম্পানি থেকে প্লেন। মীর নাসির পড়ে গেলেন মহাবিপদে। বিমান বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে, সব বোর্ড সদস্যের সম্মতিক্রমে তিনি বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছেন। এখন কোন অজুহাত দেখিয়ে বোয়িং প্লেনের পরিবর্তে এয়ারবাস এ্যারোপ্লেনের পক্ষে নিজের সিদ্ধান্ত বদলাবেন?
তারেক রহমান তার মাকে বলে মীর নাসিরকে মন্ত্রিত্বের পদ থেকে অপসারিত করে নিজের একান্ত অনুগত মির্জা ফখরুল ইসলামকে বিমানের প্রতিমন্ত্রী পদে নিয়োগদানের ব্যবস্থা করলেন। মির্জা সাহেব প্রতিমন্ত্রী হয়েই বিমানের ফ্লিট প্ল্যান কমিটিকে নির্দেশ দিলেন, বোয়িং প্লেন বাদ দিয়ে এয়ারবাস প্লেন কেনার জন্য নতুন করে পরিকল্পনা করতে। ব্যাপারটা সহজ ছিল না। এক বছরেরও বেশি সময় নিয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য-উপাত্ত, যাত্রী বহনের উপযুক্ততা, সিট-মাইলের কস্ট বা মূল্য ইত্যাদি হিসাব করে তৈরি করা ফ্লিট প্ল্যান বললেই তো আর রাতারাতি পরিবর্তন করা যায় না। তবু ফ্লিট প্ল্যান কমিটি অনেক রকমের যুক্তিতর্কের উপস্থাপনা করে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আপতত ৪ খানা বিভিন্ন মডেলের এয়ারবাস প্লেন ক্রয় করা হবে। বোয়িং প্লেনের বিষয়টা পরে দেখা যাবে। 
এ্যারোপ্লেন ক্রয় করার জন্য বিদেশী ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে অর্থ সংগ্রহের ব্যবস্থাও করা হলো। কিন্তু বিদেশী ব্যাংকগুলো চাইল, বাংলাদেশ ব্যাংক কম করে হলেও উড়োজাহাজগুলোর মোট মূল্যের ১৫ শতাংশ পেমেন্টের গ্যারন্টার হতে হবে। 
প্রয়াত সাইফুর রহমান সাহেব তখন বিএনপি সরকারের অর্থমন্ত্রী। সিলেট বিমানবন্দরের উন্নয়নের জন্য তখন ২৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। ওই প্রকল্পের কাজটি পাওয়ার জন্য বিএনপি দলের গুম হওয়া নেতা ইলিয়াস আলী সমর্থিত একটি গ্রুপ ছিল। অন্য আর একটি গ্রুপ ছিল সাইফুর রহমান সাহেবের বড় পুত্র নাসের রহমান কর্তৃক সমর্থিত। সাইফুর রহমান সাহেব স্বাভাবিকভাবেই চেয়েছিলেন তার ছেলের সমর্থক গ্রুপটি কাজটি পাক। ইলিয়াস আলীর পেছনের জোরটা ছিল তারেক রহমানের আশীর্বাদ। এই সমর্থন, আর্শীবাদ ইত্যাদির সঙ্গে অবশ্যই জড়িত ছিল বড় অংকের অর্থকড়ি। বিষয়টা উল্লেখ না করলেও চলত। যা হোক, শেষ পর্যন্ত ইলিয়াস আলী গ্রুপই প্রকল্পের কাজটি পেয়ে যায়। এতে করে সাইফুর রহমান সাহেব তো রেগেমেগে একাকার। রাগান্বিত হয়ে প্রথমে তো তিনি পদত্যাগের হুমকি দিলেন। তিনি কেন পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন, তা তো দেশবাসীও জানতে পারল না। কিন্তু কেন পদত্যাগের হুমকি দিয়েছিলেন, দেশবাসী অবশ্যই তা জানতেন না।
বার্ষিক বাজেট উপস্থাপনের আগে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের হুমকি বিএনপি দলটির নীতিনির্ধারকদের চিন্তায় ফেলে দিল। কিন্তু পদত্যাগের কথা বললেই তো তা করা যায় না। সাইফুর রহমানের পুত্রধনরা তো সততার ব্যাপারে ধোয়া তুলসীপাতা ছিলেন না। পুত্রধনদের তো তারেক রহমানের আক্রোশ থেকে বাঁচাতে হবে! অর্থমন্ত্রী সাহেব আর পদত্যাগ করলেন না। 
সাইফুর রহমান সাহেব পদত্যাগ করলেন না বটে, কিন্তু উড়োজাহাজ কেনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি দেয়ার কাজটা বন্ধ রাখলেন। তিনি গ্যারান্টির চিঠি ইস্যু করতে সরাসরি অস্বীকার না করে নানা টালবাহানা করে কাজটি বিলম্বিত করতে শুরু করলেন। টালবাহানার ধরনটা ছিল এমন যে, দরকষাকষি করে উড়োজাহাজের দাম কিছুটা কমানো যায় কিনা। এমন মহৎ প্রচেষ্টাÑ কোন মডেলের উড়োজাহাজ বিমানের জন্য বেশি উপযোগী হবে, এমন ধরনের প্রশ্নের সদুত্তর চাচ্ছিলেন। এমনি করে কালক্ষেণ করতে করতে বিএনপি দলটির ক্ষমতাসীন থাকার সময় ফুরিয়ে গেল। 
এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তারেক রহমান এনারা চুপচাপ বসে ছিলেন না। পুরনো ডিসি-১০ প্লেন দিয়ে যে বাংলাদেশ বিমান চালিয়ে রাখা সম্ভব নয় এবং জরুরী ভিত্তিতে যে নতুন এ্যারোপ্লেন কিনতে হবে, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে মির্জা ফখরুল এবং জিয়াপুত্র ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখলেন। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এক এক করে বিমানের ৫ খানা ডিসি-১০ প্লেনের মধ্যে ৪ খানাই অচল করে রাখলেন। ওই সময় উক্ত প্লেনগুলো ভাল সার্ভিসই দিচ্ছিল। বিমানের কোন গন্তব্যে যেতেই ডিসি-১০ প্লেনগুলোর কোন বাধা ছিল না। ওই প্লেনগুলোর ইঞ্জিনের ডি-চেক করার তখন ব্যবস্থা করা হয়েছিল হল্যান্ডের ডাচ এয়ারলাইনের সঙ্গে। পরে ব্যবস্থা করা হয় জার্মানির একটি কোম্পানির সঙ্গে। ডিসি-১০ প্লেনের এক একটা ইঞ্জিন ডি-চেকের জন্য বিদেশে পাঠানো হয়, কিন্তু মেইন্টেন্যান্সের অর্থ পরিশোধ করে সেগুলো আর ফেরত আনা হয় না। এক এক করে এমনিভাবে ডিসি-১০ প্লেনের ১০টি ইঞ্জিন বিদেশে পড়ে রইল। ফলে ৫ খানার মধ্যে ৪ খানা ডিসি-১০প্লেন আর উড্ডয়নক্ষম রইল না। এর চাপ পড়ল বিমানের তখনকার ৩ খানা এয়ারবাস এ্যারোপ্লেনের ওপরও। এমনি করে বিমানের সমস্ত সিডিউল ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ল। 
২০০৬ সালে মির্জা সাহেব যখন বিমানের প্রতিমন্ত্রী তখনকার কয়েকটি দিনের ফ্লাইট সিডিউলের বিপর্যয়ের খ-কালীন একটি চিত্র তুলে ধরছি: ২০০৬ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি মাত্র এক সপ্তাহের চিত্র। উক্ত এক সপ্তাহে বিমানের ৪১টি ডিসি-১০ প্লেনের ফ্লাইটের একটি ফ্লাইটও সময়মতো ছাড়তে পারেনি। মাত্র একটি ফ্লাইট অল্প বিলম্বে ছেড়েছিল। বাকি ৪০ টি ফ্লাইট অনেক বিলম্বে ছেড়েছে অথবা ক্যান্সেল হয়েছে। ওই একই সময় এয়ারবাস-৩১০ প্লেনের ১১৬টি ফ্লাইটের মধ্যে মাত্র ১৭% ফ্লাইট নিয়মিত সময় চলাচল করেছে। এর পরের সপ্তাহে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ডিসি-১০ প্লেনের ৬৭টি ফ্লাইটের মধ্যে মাত্র একটি ফ্লাইট সময়মতো ছেড়েছিল। এয়ারবাস প্লেন দিয়ে পরিচালিত ৯৬টি ফ্লাইটের মধ্যে মাত্র ১৬টি চলেছিল নিয়মিত সময়ে। ওই সময় একটানা ২১ দিন সময় যাবত বিমানের ডিসি-১০ প্লেনের কোন ফ্লাইটই সময়মতো চলাচল করেনি। 
ডিসি-১০ প্লেনের ১০টি ইঞ্জিন ইচ্ছাকৃতভাবে বিদেশে ফেলে রাখা এবং ফ্লাইট সিডিউল সংক্রান্ত যে সব তথ্য পরিবেশন করা হলো, সে সবের রেকর্ড, কাগজপত্র সবই বিমান অফিসে আছে। তাই এ লেখার বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটু খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করলেই এ সবের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। 
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সময় নিউইয়র্কে নর্থ আটলান্টিক ট্রাভেল এজেন্সি নাম দিয়ে বিএনপিঅলাদের কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সি মিলে একটি সিন্ডিকেট করে। মির্জা সাহেব বিমানের নিউইয়র্ক অফিসকে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিলেনÑবিএনপিঅলাদের ট্রাভেল এজেন্সিগুলো ছাড়া অন্যরা বিমানের টিকেট বিক্রি করতে পারবে না। ওই ট্রাভেল এজেন্সিগুলো নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্কের জন্য নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অনেক বেশি ভাড়া আদায় করত। ফলে ঢাকা-নিউইয়র্কের মধ্যে বিমানের যাত্রী কমতে শুরু করল। এক পর্যায়ে বিমানের ঢাকা-নিউইয়ের্কের ফ্লাইটই বন্ধ করে দিতে হলো। 
এ সব ছাড়া মির্জা সাহেবের মন্ত্রিত্বের সময়ের অন্যান্য দুর্নীতির বিষয় আলোচনা করলাম না লেখাটার কলেবর বৃদ্ধি না করার ইচ্ছা থেকে। আমার বক্তব্য হলো, বাংলাদেশ বিমানের বর্তমান বেহাল অবস্থার সূচনাটা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই করে গেছেন। একবার যদি কোন এয়ারলাইন্সের ওপর যাত্রীরা আস্থা হারিয়ে ফেলে, তবে ওই এয়ারলাইন্স আর সহজে ঘুরে দাঁড়াতে পারে না। 
শুনেছি ম্যাকারেল মাছের পচন ধরলে ওগুলোকে নাকি বেশি শাইনিং (ঝযরহরহম) দেখায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অধ্যাপক লিখেছেন যে, বিমানের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মির্জা সাহেবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বা অনিয়মের কোন অভিযোগ ছিল না। তাকে শুধু বলব, যে পত্রিকায় তিনি নিবন্ধটি লিখেছেন ওই পত্রিকাসহ অন্যান্য ওই সময়ের পত্রিকাগুলো যেন পড়ে দেখেন। আমার বক্তব্য হলো, আপনার লেখার স্বাধীনতা আছে। পা-িত্য আছে। আপনি সুলেখকও বটে। তাই লিখুন। 

লেখক : সাবেক বৈমানিক ও মুক্তিযোদ্ধা

Monday, July 1, 2013

ক্ষমা চাই সকলের কাছে।

ক্ষমা চাই সকলের কাছে। সবাই আমাকে নিজগুনে ক্ষমা করবেন। আসলে আমি কেউ না এ দেশের ভালো মন্দ আয় ব্যয় উন্নতি অবনতি ধংশ বা নির্মাণে ।আমার কোনো অবদান নেই এ দেশের জন্য। আমি শুধু পথের ধারে অযত্নে বেড়ে ওঠা দলিত মথিত দূর্বা ঘাস। আমি একটি রাস্তার নেড়ে কুকুর। মূর্খ অথর্ব বাচাল প্রকৃতির একটি বাজে লোক। আমি আমার নিজেকেই ঘৃণা করি মনে প্রাণে।আত্বহত্যা মহা পাপ এবং মহান আল্লাহ্‌ তায়া'লার কাছে গিয়ে কোনো জাবাদিহীতার রাস্তা থাকবে না। দুটি কন্যা সন্তান বেড়ে ঊঠেছে অযতনে মূর্খ ব্যর্থ পিতার সন্তান হিসেবে।
শুনিতে চেওনা কোথায় কষ্ট কোন সে গোপনকথা!
শুনিয়া হাসিবে মুচকি হাসি, নয়তো পাইবে ব্যাথা।
নয়তো বলিবে, আসলেই সত্যি বদ্ধ পাগল মুক্তি,
নাহি কথার সামঞ্জস্য নাহি কোনো যুক্তি ।
এ দেশ স্বাধীন করেছিলো সেনা বাহিনী। যুদ্ধের পূর্বেই যারা সশস্ত্র জীবন যাপনে অভ্যস্ত। দেশ স্বাধীন করেছে তারাই। সাতজন বীর শ্রেষ্ঠও সেনা বাহিনীর সদস্য। হতভাগা জাতিরজনককে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, সেও সেনাবাহিনী। মঞ্জুর, জিয়া, খালেদ মোশাররফ, কর্নেল তাহের, তাজুদ্দিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপঃ মনসুর আলী, কামরুজ্জামানসহ হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা বিচারে রুদ্ধ কারাগারে হত্যা করেছে, সেটাও সেনা বাহিনী। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ৪০ বছরের মধ্যে মাত্র সাড়ে সাত বছর দেশ শাসন করেছে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার আর বাদ বাকী সাড়ে ৩২ বছর বৈধ এবং অবৈধভাবে দেশ শাসন করেছে সেনা বাহিনী। কোথায় গণতন্ত্রের শিশু, তাকেতো হাটতেই শিখানো হয়নি? দেশের সমস্ত সরকারী আধা সরকারী স্বায়ত্বশাসিত প্রধান প্রধান প্রতিষ্ঠান গুলোর কর্ণধার বর্তমান অথবা অবসর গ্রহণকৃত সেনা কর্মকর্তা। দেশ বিদেশের দূতাবাসগূলোতে চাকুরীর সুবিধাদিসহ প্রেষণে নিয়োগ পেয়েছে সেনাবাহিনী। কাজেই মুক্তিযুদ্ধ এবং তার সকল মহিমা সেনাবাহিনীরই প্রাপ্য। বাকী সব ছাগলের তিন নম্বর বাচ্ছা। উচ্চ শিক্ষিত, মেধাসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে পাশ করা যুব গোষ্ঠী ভালো চাকুরী না পেলেও, অবসরপ্রাপ্ত সেনা বাহিনী ঠিকই চুক্তিভিত্তিক উচ্চ পদসমূহে নিয়োগ পেয়েছে। কারন তারাই এ দেশ স্বাধীন করেছে। বাকী আমরা যারা বাঙ্গালী, তারা অকালকুসুমন্ড তথাকথিত ভোদাই সম্প্রদায়। তারেক জিয়া দুর্নীতি লুন্ঠণ করেছে, পত্রপত্রিকা দেশবিদেশে ছড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এ কি হচ্ছে, তা জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত জানতে পারছে না। এ কথা আমি মুক্তি বলবার কে? আমি বলবোই বা কেনো। দুর্নীতি দমন কমিশনের এক কর্মকর্তা আমাকে একটি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার তদন্তের সাক্ষী হিসেবে ডেকেছিলো এবং ধমকিয়ে ওই তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে শাসিয়েছিলেন " যে ব্যক্তি সরকারি অর্থ তছরুপ করেছে, সেটা সরকারের অর্থ, আপনার কি? আপনি কে অভিযোগ করতে? আপনার এতো মাথা ব্যথা কেনো। আলবৎ সত্য কথা। আমি কে? আমি কেনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলাম? আমিতো একটা stupid! আর কিছু নয়। আমার কি আসে যায় যদি সরকারের টাকা লুটপাট হয়? আমার এই ষাট বছরের কাছে এসে শুভ বুদ্ধির ঊদয় হয়েছে। এতো দিনে বুঝলাম এ সমাজে, এ দেশে, এ মাটিতে আমি একটি পদার্থহীন অপদার্থ। নিজেকে বিরাট একটা কিছু মনে করতাম। গায় পড়ে পথের কাঁটা নিজের কাঁটা মনে করে মানুষের সাথে অহেতুক ঝগড়া ফেসাত দাঙ্গা হাঙ্গামা বাক বিতন্ড যুক্তি তর্ক বিতর্ক আর স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা, রাজাকার, বিএন পি জামাত যতো সব অহেতুক বিষয়াদি নিয়ে অযৌক্তিক এবং উদ্ভট অসামঞ্জস্য কথা বার্তা বলে বেড়াতাম। কিন্তু আসল বিষয়টা ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আমি কেউ না বাংলাদেশের। আমার পিতা মাতার বিশেষ উত্তেজনার ফসল মাত্র আমি জন্মেছিলাম বাংলার একটি অখ্যাত নিভূত পল্লীর জীর্ণ কুঠিরে। সংসারে সকলের ছোট হয়েও উচ্চ শিক্ষার মূখ দেখতে পাইনি আমার এই প্রচন্ড দাপট বাউন্ডেলেপনার জন্য। কোন রকম পেটে ভাতে খেয়ে পড়ে অনেক কষ্টে কিছু মুল্যহীন সনদপত্র যোগার করেছিলাম। সেও মনে হয় বোর্ড অফ এডুকেশনের ভুলের কারনে পেয়েছিলাম। 
যেদিন হাওয়া ভবন এর সন্ত্রাসীদের হাতে বেদমভাবে প্রহৃত হ’লাম, জীবন ভিক্ষা চেয়ে প্রান বাচালাম সেদিনই আমি বুঝেছিলাম, আমি এ দেশে অকালকুসুমন্ড মূল্যহীন একটি অযাচিত জঘন্য ঘৃণ্য অতিকায় তুচ্ছ  নরকের কীট। তাই স্ত্রী সন্ডানদের ফেলে নিজের জীবন নিয়ে পালিয়ে এলাম। এসে ভাবলাম আমার কথা গুলো অন্তত বিশ্বকে জানানো উচিত। আমার জানাবার ভাষা এবং উপস্থাপনে হয়তো বা কোনো আর্ট ছিলো না কিন্তু সত্যতা ছিলো সম্পূর্ণ ১০০ ভাগ। আমার জন্মভূমি আমি ছেড়ে এলেও আমার বিধির বিধান ভাগ্য লিখনতো আমার সাথে সাথেই মায়া মরীচিকার মতোই তাড়া করেছে, আমি পালাতে চাইলেও আমার ভাগ্যের লেখা অনুযায়ী ওরা তো আমার পিছু ছাড়েনি।
এই মিডিয়া জগতে কতো জনেরে একান্তভাবে পেয়েছি, কতজনেরে মিথ্যে কারনে মিথ্যে অজুহাতে অশ্রাব্য ভাষায় তিরস্কার করেছি। আসলে আমিতো কেঊ না ও কথা বলার যে কথা আমি একান্ত আমার এবং দেশের শ্ত্রু মনে করে অপরজনকে বলেছি। ওরা শত্রু হবে কেনো? এটাইতো ছিলো আমার সব চেয়ে বড় আহাম্মকী এবং ডাষ্টবিনে নিক্ষেপিত হবার মুল কারন। শ্ত্রুতো আমি আমার নিজের। শ্ত্রু আমি সকলের। শ্ত্রু আমি বাঙ্গালী জাতির। শ্ত্রু আমি মিডিয়া জগতের সকলের। আমাকেইতো আমার ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে শাস্তি দিতে ইচ্ছে হচ্ছে। 
বন্ধুগণ, আমাকে আপনারা মনে রাখবেন না। ভূলে যাবেন। যদি কখনো কারো মনে কোন কষ্ট দিয়ে থাকি। কাউকে স্বাধীনতা বা বঙ্গবন্ধু সংক্রান্ত কারনে কোনো কটু কথা বা গালি দিয়ে থাকি, আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দিবেন। যদি শুনতে পান কোনো মাধ্যমে যে ‘মুক্তি নামের সে শুয়োরটা আর বেঁচে নেই’, আমাদের আর জ্বালাতন করবে না, সেদিন আমার বেহেস্ত নছিবের জন্য না হলেও নরকের শাস্তি মৌকুফের জন্য পারলে দোয়া করবেন।
“ অন্ধকারে এসেছিলেম, থাকতে আধার যাই চলে,
ক্ষণিক ভালো বেসে ছিলেম, চির কালের নাই হলেম।
আপনারা ভূলে যাবেন আমার এ বেসুরো বেতাল গানের কোনো একটি লাইনও যদি আপনাদের কারো কাছে কোনো মুহূর্তে ভালো লেগে থাকে?  
আমার আপন বড় ভাইকে হারানোর পর এই নেট ওয়ার্কের মিডিয়ার মাধ্যমে বড় ভাই হিসেবে শহীদুল আলম ভাইজান কে পেয়েছিলাম,  যদি জীবনে একবার দেখা না পাই বড় কষ্ট থেকে যাবে তার জন্য । কারো কোন করুনা চাই না। দয়া চাইনা, চাইনা কোন ভিক্ষার অনুকম্পা।
“যেহেতু দেশকে জাতিকে নিজে কিছুই দিতে পারিনি, তখন চাইবারও কোনো অধিকার আমার নেই।
“শুধু আর একবার দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আমার শুষ্ক ওষ্ঠাধর থেকে নিক্ষেপ করে গেলাম...বাঙ্গালী জাতির জন্য . the ungrateful nation
 



Sunday, June 16, 2013

President Ziaur Rahman did not allow me to enter our Dhanmondi-32 Residence: Sheikh Hasina

President Ziaur Rahman did not allow me to enter our Dhanmondi-32 Residence:

Sheikh Hasina


Tears rolled down her cheeks and emotion gripped the audience as Prime Minister Sheikh Hasina narrated the massacre at Dhanmondi-32 and unkind behaviour of a government after the assassination of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman on August 15, 1975.
"When I came back in 1981 from exile, the then government of president Ziaur Rahman did not allow me to enter our Dhanmondi-32 residence where my father along with most of my family members were brutally killed," she said. 
Speaking at a prize giving ceremony at Osmani Memorial Auditorium yesterday morning, she said even General Zia did not allow her to organise a milad mahfil seeking eternal peace of the martyrs of August 15 inside the residence.
"It was Zia who forced us to hold milad on the road for my parents and others who were killed in the August 15 massacre," said Hasina.
Sheikh Hasina, the eldest daughter of Bangabandhu, who along with her younger sister survived the massacre, described as crime against humanity, said president Zia imposed restriction on opening of the residence from where Bangabandhu led all anti-autocratic movements.
Later, the government led by Justice Abdus Satter opened the historic house and handed over it to Hasina. "When I entered the house, I saw dried blood everywhere and clothes and other valuables were seen scattered on the floor".
The killers not only killed the country's founding father along with most of his family members, they also looted all valuables from the house, Hasina said.
There was pin-drop silence in the Osmani Memorial auditorium when the premier was narrating the tale of the blackest chapter of the world's history. People specially the children who joined the function were seen to wipe their eyes when she was describing the barbaric incident.
Hasina said after receiving the house, she and her younger sister decided to make it a museum for the people of the country. "I thought that the people of the country are the owner of the house as Bangabandhu launched all of his pro-people movements from the house," she added.
The premier said she inaugurated the Bangabandhu Memorial Museum on August 14, 1994 and after that the museum remains opened for public.
Later, Father of the Nation Bangabandhu Memorial Trust was formed on April 11, 1994 with an aim to provide various services for the common people.
According to sources, 1,000-1,200 students are being provided stipend from the trust each month to meet their education expenses. The trust arranged free medical services across the country from Jan 10 to March 17 this year when over 8 lakh patients were given medical services.
The trust will set up a medical college and a nursing institute in Gazipur to provide medical services for the common people.

The Convenor of Bangabandhu Memorial Museum presided over the function while Curator of the museum Syed Siddiqur Rahman, DG of Bangla Academy Prof Shamsuzzaman Khan and Vice-Chancellor of National University Kazi Shahidullah, among others, addressed it.
Bangladesh's history in its first decade of freedom was fundamentally a story of bloodletting. You do not have to go into research to arrive at such a morbid conclusion. But you cannot escape feeling a certain sense of irony as you recapitulate the whole episode of the country's actually claiming, and taking, its place in the global community. If the war of liberation in 1971 saw three million Bengalis dying at the hands of the Pakistan armed forces, the post-liberation era turned into a long tale of blood and gore as most of the new nation's founding fathers and war heroes bit the dust through bloody coups d'etat and internecine armed conflict. The series of tragic happenings that engulfed Bangladesh between August and November 1975, followed by the execution of Abu Tahir, a soldier for freedom, in July 1976, will remain a blot on the conscience of a nation which yet struggles to find a way out of the woods for itself.
In May 1981 came the assassination of General Ziaur Rahman, Bangladesh's first military dictator, at the hands of soldiers who in the event could not quite succeed in pulling off what they had thought would be a revolution. Within days of Zia's murder, it would be the turn of General M.A. Manzoor, ostensibly the leader of the uprising, to be killed in cold blood by Zia loyalists. All of this is what the country has known over the years. In times that are as far removed from the 1970s and 1980s as they can be, that are clearly a whole lot more transparent than what one could have imagined two or three decades ago, it is now possible for Bengalis to grasp a little more conclusively the factors --- intrigues, conspiracy, et al --- that went into the making of an era that remains sinister in its elemental darkness. And into this story now steps Zayadul Ahsan with his hair-raising account of a failed coup that, once the plot failed to take off, was to leave scores upon scores of soldiers dead after October 1977. Originally conceived and presented as a series of investigative reports for the daily Bhorer Kagoj by the writer, this work is a searing account of the innocent men of the Bangladesh air force who were forced to march to the gallows on flimsy, unproven charges of complicity in the revolt that left some senior and reputed officers of the BAF murdered at the old Tejgaon airport on 2 October 1977. And those were exciting times, not so much for the fact that the struggle for ascendancy among the various politicised factions of the military went on in a seemingly endless pattern as for the truth of what was happening around the hijacked Japan Airlines aircraft at Dhaka airport.
The conspirators struck at the precise moment when senior air force men, including their chief Abdul Gaffar Mahmood, remained busy in negotiations with the Red Brigade who had seized the plane and forced it to land in Bangladesh's capital. Competent officers, among whom was Ross Masood, were lined up by rebellious air force men before the hangar and simply mown down. The question remains, though: did these men, egged on by individuals whose identities remain yet unknown, decide to strike on 2 October because the opportunity to stage their coup on 28 September, air force day, was lost when President Ziaur Rahman informed Air Vice Marshal Mahmood he was unable to be part of the celebrations? Ahsan comes up with a hint: Egyptian President Anwar Sadat, meeting Zia in Cairo days before 28 September, warned him of a plot to assassinate the Bangladesh leader over the next few days. Zia took the hint seriously; and then came the suddenness of the JAL hijacking. As the talks with the Red Brigade neared an end, elements in the army and air force inside Dhaka cantonment went on the offensive against the Zia regime. A day earlier, in Bogra, disturbances in the cantonment left one person dead, three wounded and two missing. In Dhaka, at Tejgaon airport, eleven air force officers were murdered alongside ten soldiers from the army. Forty soldiers were left injured.
The facts Zayadul Ahsan presents are set off in an eerie pattern from the moment Zia loyalists, Mir Shawkat Ali for instance, move resolutely against the mutineers. Over the next twenty days or so, it would be an operation of relentless cruelty as the Zia regime, guided by vindictiveness and palpably oblivious to all norms of civilised behaviour, rounded up hundreds of innocent air force men and inaugurated what would eventually turn into a story of unimaginable horror. Kangaroo courts, officially described as military tribunals, swiftly handed down verdicts of guilty on those taken into custody; and night after night, inside the grim premises of the central jail in the capital, the bodies of hanged men dropped into pits for hours on end. It was Azimpur graveyard which, throughout October 1977, saw brisk nocturnal activity as the dead men were hastily buried, unbeknownst to their families. The case of the widow Aleya remains poignant, and heart-wrenching. In the days and weeks following his disappearance, she moved heaven and earth for news of her airman husband who had gone missing after 2 October. No one deigned to keep her informed until much later, to let her know in a terse notification that he had been executed for his part in the 'conspiracy'. There are other accounts, from men who were among the lucky few to escape the noose but nevertheless found themselves condemned to varied terms of imprisonment. The strand of thought throughout the stories runs along similar patterns. The innocent paid for crimes they did not commit; and ruthlessness was what the Zia military dictatorship employed in its efforts to survive and to ensure that no dissent remained to threaten its grip on power. Ironically, the fearsome Zia was to die in a botched coup slightly over three years later.
Zayadul Ahsan's work is much more than a record keeping of one of the more shameful episodes in the nation's history. It is, in very large measure, a call for those who perpetrated the atrocities on the hundreds of innocent men in the armed forces in light of the 2 October 1977 tragedy to be brought to account. Most of the men who presided over the sham trials of these men, sending them to quick death and putting a few others through inexplicable prison terms, are still alive. Some retired as senior officers in the military, especially in the air force. Others, non-commissioned officers who cheerfully served on the tribunals, went on to serve in the forces till their retirement. In the overweening interest of democratic accountability, all these elements responsible for the horrific executions in the dark need to be traced in order to be brought to justice. Ahsan's work is an eye-opener. It is a warning against men who, in the manner of Ziaur Rahman, think nothing of shooting people down in order to entrench themselves in political illegitimacy.
Syed Badrul Ahsan is Editor, Current Affairs, The Daily Star.


Monday, May 20, 2013

Digital Bangladesh Vision 2021

Digital Bangladesh Vision 2021 will need from both Public and Private sector an infusion of resources, leadership and ICT centered development if it is to be made meaningful. Over the last few decades, the world has been shifting from industrial to knowledge-based societies; the ability of a nation to use and create knowledge capital determines its capacity to empower and enable its citizens by increasing human capabilities. Easy access to knowledge, creation and preservation of knowledge systems, dissemination of knowledge and better knowledge services should be core concerns of the Digital Bangladesh Vision 2021. Bangladesh should be part of a well-crafted national strategy and “Digital Bangladesh”, needs to be the cornerstone strategy for Bangladesh. We have to build a people-centered, development-oriented Information Society, where everyone would be able to access, utilize and share information and knowledge easily and efficiently. The concept of Digital Bangladesh should be centered on the creation of what is popularly termed as a "knowledge- based society," Information and communication technologies (ICTs) are a critical component for building this knowledge-society. Our ability in creating and disseminating knowledge will eventually drive the nation’s growth in the coming days. A digital society ensures an ICT- driven knowledge-based society where information will be readily available online and where all possible tasks of the government, semi-government and also private spheres will be processed using state of the art technology. The first and foremost challenge to materialize the Digital Bangladesh Vision 2021 would be to ensure overall connectivity at an affordable cost. With the intent to enhance connectivity emphasis should be provided on the establishment of infrastructures to “Connect the Unconnected” and importance must be given on laying more optical fiber to reach the marginal people of the country. Digital Bangladesh Vision 2021 should establish technology- driven e-governance which includes e-administration, e-education, e-health, e-commerce, e- production, e-agriculture, etc. in the five focus areas of the knowledge paradigm:
1) Access to Knowledge 2) Knowledge concepts 3) Creation of Knowledge 4) Knowledge Applications 5) Delivery of Services 1. Access to Knowledge: Providing access to knowledge is the most fundamental way of increasing the opportunities and reach of individuals and groups. Therefore, means must exist for individuals who have the ability to receive and comprehend knowledge to readily obtain it. This also includes making accurate knowledge of the state and its activities available to the general public. Project, should be immediately initiated with an objective to facilitate the establishment of a firm presence of Bangladesh Government entities on the Web with two way communication capability or Web 2.0. The Program requires provision of an entire spectrum of web services to the Government sector as well as running specialized Portals for the benefit of citizens and other stakeholders. 2. Knowledge Concepts: Knowledge concepts are organized, distributed and transmitted through the education system and that’s why we need an NREN in Bangladesh. It is through education that an individual can make better informed decisions, keep abreast of important issues and trends around him or her and most importantly, question the socio-economic arrangements in a manner that can lead to change and development.
In fact, a successful "Digital Bangladesh" would need a more literate population. A mass computer-literacy program or even a government- sponsored computer course, offered perhaps as an incentive for every student who completes his or her secondary-school education, would benefit everyone. If there is will - backed by investment - there is a way. 3. Creation of Knowledge: A nation can develop in two ways – either it learns to use existing resources better, or it discovers new resources. Both activities involve creation of knowledge. This makes it important to consider all activities that lead to the creation of knowledge directly or help in protecting the knowledge that is created. To realize the aspirations of the 2021 vision, the country must be able to produce its own engineers, scientists and technological know-how.
4. Knowledge Applications: Knowledge can be productively applied to promote technological change and facilitate reliable and regular flow of information. This requires significant investment in goal-oriented research and development along with access models that can simplify market transactions and other processes within an industry. Initiatives in the areas of agriculture, small and medium enterprises (SMEs) and traditional knowledge can demonstrate that knowledge can be very effectively applied for the betterment of the rural poor. 5. Delivery of Services: Knowledge services have the potential to simplify many different points at which citizens interact with the State. Traditionally, these points of interaction have been vulnerable to unscrupulous activities and rent-seeking. We need to set the bureaucracy under an e- governance initiative, with a transparent file tracking system that the public can access. This will, right away, reduce corruption, because everyone involved in the process can be tracked down. Technology provides us with an opportunity to ensure accountability, transparency and efficiency in government services. E-governance is one of the ways in which citizens can be empowered to increase transparency of government functioning, leading to greater efficiency and productivity. E-Governance aims to place the government within the reach of all citizens increasing transparency and citizen's participation. Thus, the development of e-Governance should promote universal access to government's services, integrate administrative systems, networks, and databases, and make such information available to the citizen via Internet. In a nutshell such e-Governance should transform the government into a citizen centric technological driven one. There are various dimensions to building a Digital Bangladesh, all of which are equally important pillars. A Digital Bangladesh may constitute the following goals:

1) Build excellence in the educational system to meet the knowledge challenges of the 21st century by strengthening the education system, promote domestic research and innovation, facilitate knowledge application in sectors like health, agriculture, and industry. 2) Leverage information and communication technologies to enhance governance and improve connectivity that allows ICT-based services to be deployed equitably throughout his nation. 3) Devise mechanisms for exchange and interaction between knowledge systems in the Global arena. 4) Promote creation of knowledge in S&T laboratories that utilizes information technologies and communication networks for dissemination and exchange of knowledge. 5) Promote knowledge applications in agriculture and industry so that they can use ICTs for marketing and promotion of its products, for producing internal efficiencies, and for communication and transaction between entities. 6) Promote the use of knowledge capabilities in making government an effective, transparent and accountable service provider to the citizen and promote widespread sharing of knowledge to maximize public benefit.